ইয়াস পরবর্তী সময়ে সমাজের একটা বড় অংশ, প্রচুর দল, NGO, বিভিন্ন সংগঠনের প্রচুর ছেলে-মেয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে মানুষদের সাহায্যার্থে। নিজেদের মতো করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সেই সব মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর। প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য হয়তো সেটা, হয়তো প্রতিটা পরিবারের জন্য একদিনের খাবার তুলে দিতে পারছে ওরা। তবুও, করছে তো! শুধু মাত্র বাড়িতে বসে ফেসবুক-বিপ্লব না করে, কারণ বিন্দুতেই তো সিন্ধু…
ঠিক একই ভাবেই এমন একটা সময়ে পরিবেশ রক্ষা করতে, সুন্দরবন রক্ষা করতে কয়েকশো গাছ লাগানো হয়তো তেমন কিছুই না, কিন্তু কিছু একটার তো ইঙ্গিত দেবে, কিছুটা তো সবুজ হবে! ধূসর একটা সময়ে এই অল্প একটু সবুজতা কি একটুও শীতলতা বয়ে আনবে না?
এই সূত্র ধরে এবং বিশ্ব পরিবেশ দিবসকে উপলক্ষ্য করে আজ সুন্দরবনের মন্দিরঘাটে ৪০০ টার কাছাকাছি গাছ বিতরণ করা হলো। গাছের মধ্যে ছিলো পেয়ারা, সুপারি, লেবু, বাতাবি, জামরুল, আতা ও বেদানা। প্রত্যেকটা গাছ লাগানোর পরে একটা বড় দায়িত্ব থাকে তার রক্ষনাবেক্ষণ করা, তাই সেই ব্যাপারটাকে মাথায় রেখে আমরা ৩০০ টার বেশি পরিবারের হাতে গাছগুলো তুলে দিয়েছি, যাতে প্রত্যেকটা গাছই সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে পারে পরিবারের সকলের সাহচর্য নিয়ে।
যাদের জন্য আজকের সবুজায়ন বিপ্লবটা সম্ভবপর হলো তারা হলো- বাবুদা, রাধাদি, তন্ময়, প্রীতিময়, দেবাঞ্জন, নীলাঞ্জন, গৌতম, বিশ্বজিৎ,অরিজিৎ আর প্রসেনজিৎদা। তাদের উৎসাহে ও পরিশ্রমেই এই পুরো কাজটা সম্ভব হয়েছে!