গ্রামে গ্রামে লাইব্রেরি গড়ে তোলার কনসেপ্টটা বহু পুরোনো হলেও, সমাজের আক্ষরিক উন্নতির জন্য আজও তা একই ভাবে গুরুত্ব রাখে। কিন্ত মোবাইল ফোনের দাপটে বই পড়ার অভ্যাসটা সবার থেকেই কিছুটা কিছুটা করে হারিয়ে যাচ্ছে হয়তো প্রতিদিন, ঠিক সেই ভাবনা থেকে ঘুলঘুলির একটা চেষ্টা। নাম রেখেছি “ঘুলঘুলির বইঘর”… সুন্দরবন, পুরুলিয়া মিলিয়ে বাংলার বেশ কিছু প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে দু-একজন ভলান্টিয়ারের দায়িত্বে এমন লাইব্রেরি খোলার কথা ভেবেছি আমরা। একদম ছোট থেকেই, স্কুলের বইয়ের বাইরেও অন্যান্য বই জগতের প্রতি আকর্ষণ গড়ে তোলার একটা চেষ্টা, কিছু না হোক মাসে ৫ টা বই ইস্যু হোক না, সেটাই কম কিসের বলুন সমাজ গঠনের লড়াইয়ে….
আগামীকাল আমাদের প্রথম লাইব্রেরির উদ্বোধন, সুন্দরবনের মন্দিরঘাটে, “সবুজ সংসদ” ক্লাবের পরিচালনায়… আগামীতেও এমন আরও বেশ কয়েকটি লাইব্রেরি হতে থাকবে পরপর…. সাহস দেবেন, পাশে থাকবেন যেভাবে আগেও থেকেছেন প্রতিবারে।
বি:দ্র:-প্রতি ৬ মাসে, যে সব পাঠকের কমপক্ষে ৫ টা বই ইস্যু থাকবে তাদের জন্য থাকবে একটা করে নতুন বই উপহার।
গতকাল মন্দিরঘাটে “সবুজ সংসদ” ক্লাবের সহযোগিতায় ও স্থানীয় ছেলেমেয়েদের নাচ, গানের মাধ্যমে একটা অনুষ্ঠানের পর গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে, ঘুলঘুলির সেক্রেটারি ও ফাউন্ডার, মেম্বার এবং ক্লাবের সুষ্ট পরিচালনায় আমাদের প্রথম লাইব্রেরি ‘ঘুলঘুলি’র বইঘর-এর উদ্বোধন হয়ে গেল।
গ্রামের ছোটদের মধ্যে পাঠ্যপুস্তকের বাইরের বই এর প্রতি আগ্রহ বাড়াতে এবং তাদের চেতনা ও মননের গঠনে ঘুলঘুলির এই ছোট্ট প্রচেষ্টা।এই সফরে ‘ঘুলঘুলি’ পাশে পেয়েছে গ্রামের প্রচুর আগ্রহী মানুষদের ও সবুজ সংসদ ক্লাবের সদস্যদের এবং উল্লেখযোগ্য ভাবে অভিনন্দনদা, সমরেশ কাকু, বাবুদা, গৌতম ও অন্যান্যদের। তাদের এই উৎসাহই বলে দেয় মোবাইল ইন্টারনেটের যুগে আমাদের এই প্রচেষ্টা ওরা বিফলে যেতে দেবে না।গতকালের উপস্থিতি ও বই ইস্যুর ধুমই তার পোক্ত প্রমান।
এছাড়া বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ অনুযায়ী প্রতি ৬ মাসে, যে সব পাঠকের কমপক্ষে ৫ টা বই ইস্যু থাকবে তাদের জন্য থাকবে একটা করে নতুন বই উপহার।আগামীতেও এমন আরও বেশ কয়েকটি লাইব্রেরি হতে থাকবে পরপর…. সাহস দেবেন, পাশে থাকবেন যেভাবে আগেও থেকেছেন প্রতিবারে।