আমাদের চারপাশে সবাই শুধু আর্থিকভাবে নিজেদের সন্তানকে ‘দুধে-ভাতে’ রাখতে চায়, তার নামে অনেকটা ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স জমিয়ে রাখলেই বোধহয় নিশ্চিন্ত হতে পারেন তার ভবিষ্যত নিয়ে।
কিন্তু কেউই এটা ভাবিনা, পৃথিবীর সম্পদ ফুরিয়ে আসছে দিনে দিনে, ভূ-গর্ভস্থ জল ইতিমধ্যে শেষ হয়ে এসেছে, বাতাস দূষিত, মাটি দূষিত, প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহারে পৃথিবীর দম বন্ধ হয়ে আসছে,এখনো ভাবার সময় আসেনি বলছেন??
এগুলো থেকে পৃথিবীকে, পরিবেশকে,আমাদেরকে বাঁচাতে পারে, একমাত্র গাছ। ছোটবেলায় পরিবেশ-পরিচিতি বই এ পড়েছি সবাই, কিন্তু কাজে লাগাইনি আর।
সময় এসেছে, ভাবার, কিছু করার, কিছু অন্তত। আমফানের ঝড়ে যে বিপুলসংখ্যক গাছের ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য অন্তত দ্বিগুণ সংখ্যক গাছ লাগানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ, তাই আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ‘ঘুলঘুলি’র পক্ষ থেকে তাপস, তন্ময়, বিশ্বজিত,বাবুদা, সানু, বুবাই, রণি, টুকাইরা হাতে হাতে, ৭৫ টা গাছ লাগিয়ে ফেলেছে। গাছেদের মধ্যে ছিল, পলাশ, সুপারি, নারকেল,বকুল, ছাতিম, শিউলি, অশ্বত্থ, অশোক, কামিনী। শুধু গাছ লাগালেই হয়তো পরিবেশ দিবস যথার্থ পালন করা হয়না, তাই প্রতিটা গাছে বেড়া দেওয়া হয়েছে, আর দেখাশোনা করার ও দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে।
আমরা জানি আমাদের এই প্রচেষ্টা বিফল হবে না। সবাই অঙ্গীকারবদ্ধ হলে, ঠিকই এ বিশ্বকে আবার নবজাতকের বাসযোগ্য করে তোলা যাবে এই আশা রাখি।