আমাদের চারপাশে সবাই শুধু আর্থিকভাবে নিজেদের সন্তানকে ‘দুধে-ভাতে’ রাখতে ব্যস্ত, তার নামে অনেকটা পরিমাণে ব্যাংক ব্যালেন্স জমিয়ে রাখলেই বোধহয় নিশ্চিন্ত হতে পারেন তার ভবিষ্যত বা তার পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে।
কিন্তু কেউই এটা ভাবিনা, পৃথিবীর সম্পদ ফুরিয়ে আসছে দিনে দিনে, ভূ-গর্ভস্থ জল ইতিমধ্যে শেষ হয়ে এসেছে, বাতাস দূষিত, মাটি দূষিত, প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহারে পৃথিবীর দম বন্ধ হয়ে আসছে,এখনো ভাবার সময় আসেনি বলছেন??
এগুলো থেকে পৃথিবীকে, পরিবেশকে,আমাদেরকে বাঁচাতে পারে, একমাত্র গাছ। ছোটবেলায় পরিবেশ-পরিচিত বই এ পড়েছি সবাই, কিন্তু কাজে লাগাই নি আর।
সময় এসেছে, ভাবার, কিছু করার, কিছু অন্তত।
আসুন না সবাই মিলে চেষ্টা করি,এ ‘বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য’ করতে।ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শুধু ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স নয়, সবুজ,শীতল পরিবেশ রেখে যেতে, আকাশভরা মুক্ত বাতাসও রেখে যেতে, যেখানে ওরা প্রাণ ভরে নিঃস্বাস নিতে পারবে।
আমি অঙ্গীকারবদ্ধ, অঙ্গীকার নিয়েছে ঘুলঘুলির সমস্ত সদস্যরাও। তাই আমরা ঠিক করেছি,প্রত্যেক সদস্য তার জন্মদিনে একটা করে গাছ লাগাবে, সেটার যত্ন নেবে, বড় করবে তাকে, আর সচেতন করবে আরও সবাইকে।
প্রতিটা সদস্যের জন্মদিনে এটাই হবে ঘুলঘুলির পক্ষ থেকে দেওয়া ছোট্ট উপহার ….