“To live is the rarest thing in the world. Most people exist, that is all.” Oscar Wilde .
The true meaning of these words would have never been perceived without Ghulghuli’s humble approach via its latest event at “Sidhu Kanho Mission”. Situated 34kms from Purulia , Arsha district , the mission had all the necessary lessons that life teaches us and we tend to overlook amidst the throngs of our busy life . With the requisites being given beforehand and the marketing being done two days before the event , there was a curiosity of what the school of 120 children guided by just 4 teachers in the footsteps of the Bhaldungri Hill had to offer for us. The visions started from Purulia station itself where people looked wide eyed towards a group of 13 young people gaining the most attention . After a brief period of refreshment, our real journey started . Slowly as we receded from the outskirts of the city and entered the rural belt , the Ayodhya hills welcomed us with its grandeur , the roads became sandier with the vegetation getting barren with every passing kilometers . The unbearable temperature evaporated the better spirits of us but the fact there are inhabitants living farther away from here soothed our body . Our first task of buying ration for the childrens’ lunch and dinner was done midway . At 11:30 a.m. we reached our destination. A school bordered by a hill covered by green belts of vegetation took us by surprise , we were awestruck when we came to know all the plants are taken care of by the students of the mission themselves. Their first curriculum for every day is to water atleast one plant. Naren Hansda , a talismanic jhumur artist is the founder , the visionary of the school ! In 2012, Losaram Tudu, a radio artist came up to help Naren Hansda in his endeavor and gave him his land to set up the school. Naren, as humble a person could be, came to welcome us . We had a chat with him regarding the necessity and the ratio of our donations to be divided among the school children and the village . We quickly left for the Vilaidi village situated near the most famous landmark being the “Pol Pol School” or “Pol Pol More”. The children , the men and women of various ages came up to greet us with curious eyes . There was a hint of rustic shakiness within them initially , but on seeing Naren Bhai they became pretty cooperative . We started talking by introducing ourselves in their Santali dialect “johar” which means Namaste. We started our distribution with women , they came up and accepted it and neither of them forgot to bow out of gratefulness despite our desperate requests . We then started distribution for men , with visible smiles and conversations which ensured that our initiative had struck the right chord. We went along with the children by distribution of shirts and pants for them . As each of them came along and took their pair of clothes, they went to a corner for comparing their gifts and their sounds of laughter filled the humid air with heavenly tranquility .
.
At 3:00 p.m. we came back to school where innocent hungry faces were awaiting us as we were their guests for the day. Some unimaginable discipline and morale needs to be learnt from them as, no one starts eating until every child has food on their plate, ensuring everyone eats unanimously – in unison. Following this, they offer their prayers to Marangburu and start their lunch ! Their lunch comprised of Egg Curry and Rice (known as Bili Raas) in their dialect . Picking up their own plates and cleaning the area is also their responsibility, which they undertake with smiling faces. Later when they were distributed school bags and other necessities there was no kind of competition for standing in first line or receiving the best accolades first . Each of them had been educated accordingly to instil within them such values alongside primary education and their Santhali rituals of archery , singing and dancing . Their academic validation was made casually at once every one of them spoke in fluent english when we did. And their showcase of talent impressed us when a boy 8-9 years of age played two instruments in the tunes of Pindare Polashe Bon, the vocalist being Naren Hansda himself . The immense flora of our culture was highlighted via the song “Ami Adivasi go , Ami Bharatbasi”. These people, these children , they take us back to the real roots of our motherland. It was dark and was our time to depart as we bade them goodbye . The hills spread around its arms protected the school like a blanket, hence hindering the little light available in the dusk ! However, the drooping darkness couldn’t douse off their gleaming faces bidding us goodbye and a short notice at the entrance – ” if we forget our own mother tongue and our culture they have immense danger ahead” – sent shivers of apprehension down our spine. Thus ended our Purulia sojourn.
২ মিনিট সময় নিয়ে আপনিও এই সফরের সঙ্গী হতে পারেন…..
জোহার, এক অন্য পৃথিবীতে আপনাকে স্বাগত। এখানে দিন বদলের লড়াইটা একটু অন্যরকম আমার আপনার থেকে, কারণ লড়াইটা শুধু বেঁচে থাকার নয়, বাঁচিয়ে রাখারও, নিজের ভাষাকে, নিজের সংস্কৃতিকে। আমরা প্রত্যেকেই লড়াই করছি কমবেশি, নিজেদের ভালো রাখতে, কিন্তু নিজের পরিবারের বাইরেও আর পাঁচজনকে ভালো রেখে ভালো থাকার লড়াইটা কজন করতে পারি আমরা? পারবো? নিজেদের আয়ের সমস্তটা দিয়ে অন্যসকলকে ভালো রাখতে,অন্তত একমাস? কিন্তু এই লড়াইয়ে যারা জিতে যায় মাসের পর মাস,বছরের পর বছর,তাদেরকে কি বলবো আমরা? শুধুই লড়াকু একটা মানুষ নাকি আরো কিছু মাত্রা যোগ করবো আগে,পরে। এমনই একটা নাম নরেন হাঁসদা, পেশায় ঝুমুর শিল্পী, এই অন্য পৃথিবীটার রচয়িতা, পুরুলিয়া স্টেশন থেকে ৩৪ কিলোমিটার দূরে আড়শা ব্লকের ভালিডুংরি পাহাড়কে প্রাণ দিয়েছেন যিনি। শহরে-গ্রামে গানের বায়না নিয়ে উপার্জিত অর্থ, সমাজের ভালোর কাজে লাগানোর ভাবনা অনেকদিন ধরেই। সাঁওতালি বাচ্চাদের জন্য একটা স্কুল করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু জায়গা কোথায় পাবেন! গ্রামেরই একসময়ের অনামি বেতার শিল্পী, লোসরাম টুডু তার ইচ্ছেপূরণে ভালিডুংরি পাহাড়ের কোলে একটা ছোট্ট জায়গা দান করেন তাকে। শুরু হয় “সিদো কানহু মিশন” এর যাত্রা,সালটা ২০১২।
আস্তে আস্তে স্কুলটাতে আশেপাশের গ্রাম থেকে বাচ্ছারা পড়তে আসতে শুরু করে, আর এখন সেই সংখ্যা ১২০ জনে ঠেকেছে। শুধু তাই নয়,২০ টা বাচ্চাকে নিজের আশ্রমে রেখে তাদের সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন,যাদের অধিকাংশই অনাথ।
এতো গেল স্কুল আর আশ্রমের কথা, এবার আসি ওই বাচ্চাগুলোর নিয়মানুবর্তিতায়।ওদের সঙ্গে কয়েক ঘন্টা থাকার পরে আপনিও শিখে যেতে পারেন একতা-শৃঙ্খলার আর এক ধাপ,হ্যাঁ একটু লজ্জাও পেতে পারেন।আমাদের গাড়িটা আশ্রমের ঢোকার ঠিক পরেই ওদের উচ্ছাস, আতিথেয়তা আমাদের অনেকটা ভেতরে গিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছিলো আমরা ওদের আত্মীয়ই।প্রতিদিন ক্লাস চলে সকাল ৬ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত,শনি রবিবার চলে নাচ,গান,আঁকা, নাটক, আবৃত্তির ক্লাস।রোজ সকালে ওদের প্রথম কাজ হলো ভালিডুংরি পাহাড়ে ওদেরই হাতে জন্মানো, চারাগাছগুলোতে জল দেওয়া, হ্যাঁ ওখানে জলকষ্ট অনেকটাই তাই ব্যবহৃত নোংরা জলই ওরা গাছে দেয়। আশ্রমের চারপাশটা পরিস্কার রাখার দ্বায়িত্বও ওদেরই। ওইদিন দুপুরে আমাদের সাধ্যমতো সবার জন্য ডাল আর ডিমভাতের ব্যবস্থা করেছিলাম কিন্তু আয়োজনে দেরিও হয়ে গিয়েছিল তবু খিদেয় শুকিয়ে যাওয়া মুখ গুলো ততক্ষন পর্যন্ত মুখে বিলি রাস (ডিম-ঝোল) তোলে নি যতক্ষণ না সবার পাতে খাবার পড়েছে, সবাই খাবার পাবার পরে, মারাংবুরু কে স্মরণ করে তবেই একসাথে খাবার তুললো মুখে। খাওয়া শেষে হাসি মুখে নিজেদের এঁটো পাতা গুলো নিজেরাই ফেললো এলো নির্দিষ্ট জায়গায়। অদ্ভুতভাবে কেউই অযথা ছুটোছুটি করলো না। বিকেলে যখন কিছু লেখাপড়ার সামগ্রী দেওয়া হচ্ছিল,কোনোরকম কোলাহল বিশৃঙ্খলতা ছাড়াই হাসি মুখে নিচ্ছিল ওরা।ভবিষ্যতে পুঁথিগত শিক্ষার পথটাতে ওরা নিশ্চয় অনেকদূর হাঁটবে কিন্তু সামাজিক শিক্ষা,প্রকৃত শিক্ষার ধাপটাতে ওরা আমাদের থেকে অনেকটা এগিয়ে,অনেকটা।বলেছিলাম না,আপনি লজ্জা পেয়ে যেতে পারেন। নরেনবাবু নিজে হাইস্কুলের গন্ডি না পেরোলেও এটা জানেন সার্বিক উন্নতির জন্য প্রকৃত শিক্ষার গুরুত্ব কতটা,তাই সমাজ গড়তে শিক্ষাকেই প্রধান মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন।সমাজ গড়তে শিক্ষার পাশাপাশি নিজের পেশা গানকেও একটা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে চলেছেন। নিজে গান বেঁধে, কথার মধ্যে সচেতনতার বার্তা দিয়ে মজার ছলে তিনি গ্রামবাসীদের মধ্যে গান করেন,গানের মাধ্যমেই প্রতিবাদ করেন,ডাইনি সন্দেহে গণহত্যা বা একঘরে করে দেওয়ার বিরুদ্ধে।সচেতন করেন, রোগ হলে, সন্তান প্রসবের সময় হলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্যে। সেই গল্প শুনতে শুনতেই আমরা পৌঁছে যাই আশ্রম থেকে ৭ কিমি দূরে আদিবাসী গ্রাম ভিলাইডিতে, তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস দিতে…যা হয়তো প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য। জিনিসগুলো নেওয়ার সময়ে ওদের নমস্কার করে,মাথা নিচু করা মুখগুলো আমাদের কেমন হারিয়ে দিয়েছিলো, বাচ্চাগুলোর ঐটুকুতেই খুশি হওয়া হাসিমুখ আমাদের পাওয়া- না পাওয়ার চাহিদাকে কোথাও না কোথাও ধাক্কা মারছিলো।
নরেনবাবুর খোঁজ দিয়ে, পুরুলিয়া সফরে পা বাড়ানোর সাহস দিয়েছে, পুরুলিয়ারই এক ভাই প্রতীক, এছাড়া পুরো সময়টা জুড়ে অভিভাবকের মতো আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে বাদল দা।ওদেরকে অনেক ভালোবাসা আমাদের তরফ থেকে।
সন্ধ্যে নেমে আসছে, যাওয়ার সময় হলো, আমাদের আবদারে নরেনবাবু পায়ে ঝুমুর পরে, হাতে দোতারা নিয়ে গান শুরু করলেন,’হামি আদিবাসী গো, হামি ভারতবাসী’। বাচ্চা-বড় সবাই হাতে হাতে তাল দিলো, দুই ক্ষুদে সুর তুললো, বাজাতে লাগলো, একজন মাদল, একজন করতাল।গান শেষ হতেই আবার আবদার করলাম “পিন্দারে পলাশের বন” শোনানোর জন্য, গানটা করার আগে বলতে লাগলেন-” শিলাজিতের সাথে ২০০০ সালে গানটা করেছি, চারটে লাইনও লিখেছি, সুর দিয়েছি,আমার মেয়েরাও গানে কোরাস দিয়েছে,কিন্তু আমার কোনো নাম নেয়নি গানটাতে”। কি? থমকে গেলেন? Unprivileged ক্ষতটা সমাজের কতটা গভীরে আঁচ পেলেন একটু? জানি নরেন বাবুর এই ছোট্ট পৃথিবী থেকে অনেকটা দূরে আমরা, তবে চাইলেই পারি ওনার স্বপ্নগুলোকে একটু একটু করে ভাগ করে নিয়ে দুই পৃথিবীর মধ্যে দূরত্বটা কমিয়ে আনতে। হয়তো সেই কারণেই প্রতি মাসে বাচ্চাগুলোর দুবেলা খাবার এবং শিক্ষকের বেতনের দায়িত্ব সাধ্যমতো নেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা।
এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত নরেন বাবুরা পাহারা দিচ্ছেন বলেই পাহাড় বেঁচে আছে, সংস্কৃতি বেঁচে আছে, ওরা বেঁচে আছে,না হলে হয়তো প্রতিদিন সকালে উঠে ওরা দেখতো কারা যেন একটু একটু করে পাহাড় বেচে দিচ্ছে।
আশ্রমের গেটটা থেকে আমরা বেরোচ্ছি, পাহাড়টাও সূর্য্য টাকে প্রায় আগলে নিয়েছে, পিছন ফিরে শুধুমাত্র দুটো জিনিস চোখে পড়ছে, ওরা খুশি মনে হাত নেড়ে আমাদের বিদায় জানাচ্ছে,ওদের সভ্যতা থেকে আর গেটের পাশে বাঁশের বেড়ার উপর লেখা ।।”কেউ যদি নিজের ভাষা, ধরম, সংস্কৃতি ছেড়ে যাই তার ভয়ংকর বিপদ হইবে হবেই”।।